টিকার ব্যাপারে সরকারের কী উদ্যোগ: জিএম কাদের

করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দাবি করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, মানুষ জানতে চায় সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2021, 11:24 AM
Updated : 25 April 2021, 11:24 AM

টিকার মজুদ কমে আসায় এবং সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটায় সোমবার থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এর মধ্যে রোববার এক বিবৃতিতে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, “করোনার টিকা পাওয়ার ব্যাপারে মানুষের মাঝে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। টিকা জনগণের নাগরিক অধিকার। সারা দেশের টিকা পাওয়ার যোগ্য সকল জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।

“যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা সময়মত দ্বিতীয় ডোজ পাবেন কিনা তা নিয়ে শংকিত। গেল ফেব্রুয়ারি থেকে চুক্তি অনুযায়ী টিকা না আসায় হতাশা সৃষ্টি হয়েছে সবার মাঝে। দেশের মানুষ জানতে চায় টিকার ব্যাপারে সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে?”

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো ফার্মা ওই টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ ভারতে ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে বিপুল চাহিদা তৈরি হওয়ায় আর বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কটের কারণে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর আর কেনা টিকা আর আসেনি।

গণটিকাদান শুরু পর ২২ এপ্রিল শেষে বাংলাদেশের কাছে মজুদ আছে টিকার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ, যা দিয়ে মের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন। নতুন সরবরাহ ছাড়া টিকা দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, “নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গেল বছর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে বিকল্প উৎসের সাথে যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, এ ধরণের কোনো উদ্যোগগ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে বর্তমানে দেশ কঠিন সঙ্কটের মুখোমুখি।”

সরকার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।