বিএনপি আর উঠে দাঁড়াবে না: রেজাউল

বিএনপিকে লাশের সঙ্গে তুলনা করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2021, 10:37 AM
Updated : 13 March 2021, 10:37 AM

তিনি বলেছেন, “বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। যারা ওটাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করছেন, তাদের বলি মরা লাশ নিয়ে টানাহেঁচড়া করে লাভ নেই। কিছুদিন পর দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই লাশ উঠে দাঁড়াবে না।”

শ ম রেজাউল করিম। ফাইল ছবি

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ৭ মার্চ বিএনপির কর্মসূচিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনায় একথা বলেন রেজাউল।

বিএনপিকে মুসলিম লীগের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এদেশে মুসলিম লীগ গ্রাম-বাংলায় সবচেয়ে বড় দল ছিল। এখন কিন্তু মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হয়।

“সঠিক রাজনীতি না করতে পারলে বিএনপি বিনাশের পথে যাবে, এবং সে বিনাশের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিহাস বিকৃতি এবং অপরাজনীতি বিএনপিকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।”

‘আবার ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এই আলোচনায় রেজাউল বলেন, “কেউ কেউ ভেবেছিলেন ৭ মার্চ নিয়ে বিএনপির চৈতন্যদয় হয়েছে, তারা ইতিহাসের দিকে ফিরে আসছে। তখন আমি একটা অনুষ্ঠানে বলেছিলাম এর ভেতরে একটা দুরভিসন্ধি থাকলে থাকতেও পারে। এখন বুঝলাম, বিএনপি আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে ৭ মার্চকে অস্বীকার করত। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে মিটিং করে ৭ মার্চকে অস্বীকার করেছে।”

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, জিয়া ছিল যুদ্ধাপরাধী। ১৯৭৩ সালে যুদ্ধাপরাধের যে আইন সেই আইনের ব্যাখ্যা মতে জিয়া যুদ্ধাপরাধী।”

জিয়াউর রহমানকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলার ব্যাখ্যায় অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারক বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের পর চট্টগ্রাম শহরে যারা ব্যারিকেড দিয়েছিল, জিয়া তাদের হত্যা করেছে। আমাদের ১৯৭৩ সালের আইন বলছে, স্বাধীনতার ঘোষণার পর মুহূর্তে অর্থাৎ ২৫ মার্চ রাত ১২টার পরে যারা হত্যা বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তারা সকলেই যুদ্ধাপরাধী। জিয়া বেঁচে থাকলে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আজ তার ফাঁসি হত।”

অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, “অবজারভারে আমরা কুট্টির কার্টুন দেখেছি। দৈনিক বাংলায় টোকাইয়ের কার্টুন দেখেছি। এত নোংরা কার্টুন কোনোদিন ছাপা হয়নি।”

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নানা সোশাল মিডিয়ায় কার্টুনের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “এটা কোনো কার্টুন? এটা কিসের স্বাধীনতা? এদের কি এটা লেখার স্বাধীনতা আছে? স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কেউ লিখতে পারে? জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কেউ লিখতে পারে?

“চিন্তা করা যায় তারা কী ডেঞ্জারাস পথে এগোচ্ছে! সুতরাং আমাদেরও ডেঞ্জারাস পথে এগোতে হবে।”

আলোচনায় আরও অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিমান চন্দ্র বড়ুয়া।