বুধবার ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, “খেতাব বাতিলের ক্ষেত্রে কোনো আইনি জটিলতা নেই। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা হন তাহলে তার মুক্তিযোদ্ধা খেতাব থাকা স্বাভাবিক। যদি এমন হয় যে, মুক্তিযোদ্ধা নাম ধারণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নষ্ট করেছেন, তার কি খেতাব থাকার কোনো অধিকার আছে? এই প্রশ্ন আমি দেশবাসীর কাছে রেখে গেলাম।”
মুক্তিযুদ্ধে একটি সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে সেনাপ্রধান, সামরিক আইন প্রশাসক ও পরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।
জিয়ার সময় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষার পথটি স্থায়ী করার প্রয়াস চালানো হয়। হত্যাকারীদের নানা পদ দিয়ে পুরস্কৃতও করা হয়।
‘সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের’ কারণ দেখিয়েই জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে জামুকার সভায় জিয়া ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছে জিয়ার হাতে গড়া দল বিএনপি।