বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর জেলার সড়ক বিভাগের তিনটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয় শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনেরই জয়। বিএনপি যতই সমালোচনা ও ষড়যন্ত্র করুক, তারা জনগণের মন জয় করতে পারেনি। তাই চট্টগ্রামের জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”
বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ আর এক জনের মধ্য দিয়ে বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। তাতে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে প্রায় তিন লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দিয়েছে, তাতে চট্টগ্রামের নির্বাচনে ভোটের হার ছিল মাত্র সাড়ে ২২ শতাংশ।
বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটের শুরু থেকেই তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করছিলেন। পরে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে এসে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী এ নির্বাচনকে বর্ণনা করেন ‘চূড়ান্ত তামাশা’ হিসেবে।
তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অতীতের মতো এবার তারা মাঝ পথ থেকে সরে যায়নি।”
করোনাভাইরাসের টিকা বিতরণ নিয়েও এ অনুষ্ঠানে কথা বলেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
কোন ‘অপপ্রচারে কান না দিয়ে’ সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে সংশয়মুক্ত হয়ে এবং কোন প্রকার অপপ্রচারে কান না দিয়ে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।”
সড়কে শৃঙ্খলা আনার বিষয়ে কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “শৃঙ্খলা না আনলে যতই উন্নয়ন করা হোক না কোন, লাভ হবে না। তাই সড়কে জরুরিভাবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সড়ক নির্মাণে কাজের মান কোনোভাবেই খারাপ করা যাবে না, টেকসই, মানসম্মত কাজ করতে হবে।”
দলীয় নেতাকর্মীদেরও দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপী উন্নয়নের যে মহাযজ্ঞ চলছে, তার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামী নির্মাণের যে পথচলা, তা এগিয়ে নিতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা, কর্মনিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করলে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রূপান্তর হবে।
“দল করলে, দলের নিয়ম - শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ যারা করবে, তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। দশটা উন্নয়ন কাজ ম্লান হয়ে যায় একটা খারাপ কাজের জন্য, কাজেই কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। যেই অপরাধ করবে তার বিরুদ্ধে সাথে সাথে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বৃহত্তর নোয়াখালীতে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, “নোয়াখালীর রাজনীতিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। নেতাকর্মীদের সততার পতাকা হাতে নিয়ে সততার সুনামে ফিরে আসতে হবে। নমিনেশনের জন্য দলের ক্ষতি করা যাবে না। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ আস্থা রাখতে হবে।”