ভোটকেন্দ্র দখল হলে বিএনপির ৪ প্রার্থী জিতল কীভাবে: কাদের

পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2021, 12:00 PM
Updated : 17 Jan 2021, 12:00 PM

বিএনপির অভিযোগের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, “তাহলে তাদের চারজন প্রার্থী এবং দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী কীভাবে বিজয়ী হলেন?”

পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে শনিবার ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। এতে নানা অনিয়মের অভিযোগ যেমন উঠেছে, সংঘাতে ভোটে বিজয়ী একজন কাউন্সিলর প্রার্থী মারাও গেছেন।

পৌরসভাগুলোর অধিকাংশে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের সমর্থক এমনকি প্রার্থীকেও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে রোববার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে কাদের আরও বলেন, “বিএনপি নেতারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদযাপন করে। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝ দুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে। তাই তারা ভোট কেন্দ্রে আসেন না। কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাওয়ায় এজেন্ট দেওয়ার লোক খুঁজে পায় না তারা।”

বিএনপি নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আসলে নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে। তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে নিয়েছে, যা প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে।”

ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে ছিল না কোনো জড়তা। ইভিএমে ভোট প্রদানে জনগণের আগ্রহ এখন অনেক বেড়েছে।”

কাদের বলেন, “ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার উপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।

“যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করেন, গতকালের নির্বাচনে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।”

ওবায়দুল কাদের সিরাজগঞ্জে নির্বাচন উত্তর যে সংঘাত হয়েছে তা দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, সংঘাতের ঘটনাগুলোকে ‘বিচ্ছিন্ন’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “বিএনপির আমলে নির্বাচন মানেই হানাহানি-সংঘাত, আর প্রাণহানি লেগেই থাকত। বর্তমান সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে।”

পৌরসভা নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছে, তাদেরও হুঁশিয়ার করেন ওবায়দুল কাদের।

“পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা জয়ী হোক কিংবা পরাজিত হোক, পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না, এটাই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।”