কারাবন্দি থেকে ‘প্রমোশন’ পেয়ে নেত্রী এখন গৃহবন্দি: গয়েশ্বর

দণ্ড স্থগিত হয়ে কারামুক্ত হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তার দলের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2020, 12:05 PM
Updated : 24 Sept 2020, 12:05 PM

বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “কারাবন্দি থেকে এখন প্রমোশন হয়েছে, আমাদের নেত্রী এখন গৃহবন্দি। নেত্রী যখন গৃহবন্দি থাকেন আপনার-আমার উচ্ছ্বাস মানায় না।”

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা জিয়া করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এখন মুক্ত জীবন যাপন করছেন। গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তার সাজা ছয় মাস স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। ওই ছয় মাস পেরিয়ে যাওয়ায় এরমধ্যে আবারও তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাড়ি ফিরোজায় ওঠেন খালেদা জিয়া; তারপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। ছবি: বাবুল তালুকদার

কারামুক্ত হয়ে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। শারীরিকভাবে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন যাতে ভাইরাস সংক্রমিত না হন সে কারণে ওই বাসায় নেতাকর্মীদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির এক মামলায় সাজা ঘোষণার পর থেকে প্রায় দেড় বছর কারাবন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া।

তাকে মুক্ত করে রাজপথে আনতে পারলেই দেশে ‘গণতন্ত্র ফিরে আসবে’ বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, “যে জাতীয় ঐক্য করার জন্য জনগণের প্রাণশক্তি, সেই আকাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যিনি থাকেন, নামেন এবং তাকে এই গৃহের দরজা খুলে রাজপথে আনার ব্যবস্থা যদি করতে পারি তাহলে মনে করবেন গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা গণতন্ত্র উদ্ধারে সিংহভাগ কাজ কিন্তু সম্পন্ন হবে।

“নেত্রীর মুক্তিতে গণতন্ত্র মুক্ত হবে।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

গয়েশ্বর বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য কী? এই অন্যায়-অত্যাচারে, এই একটা স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের হাত থেকে দেশটাকে বাঁচানো, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা। এর জন্য একটা জাতীয় ঐক্য দরকার।”

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ‘মান-অভিমান’ ভুলে সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, বিএনপির আবদুল আউয়াল খান, আবদুল কাইয়ুম, আনোয়ার হোসেন, দীন মোহাম্মদ কাশেমী, মোহাম্মদ হানিফসহ মারা যাওয়া নেতাদের স্মরণে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়।

সংগঠনের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ফখরুল ইসলাম রবিন, একেএম আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।