শিক্ষকদের টাইম স্কেলের অর্থ ফেরতের নির্দেশনা বাতিলের দাবি

চাকরি জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের একটি অংশের ভোগ করা টাইম স্কেলের সুবিধাদি ফেরতের যে নির্দেশনা অর্থ মন্ত্রণালয় জারি করেছে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2020, 10:15 AM
Updated : 5 Sept 2020, 10:15 AM

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এ দাবি তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৩ সালের এক ঘোষণায় এক লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরী যে জাতীয়করণ করা হয়েছিল, সেখান থেকে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত চেয়েছে সরকার।

এই নির্দেশ অবিলম্বে বাতিলসহ তিন দফা দাবি পেশ করেছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট। এসব দাবি না মানলে ১৭ সেপ্টেম্বর মানবন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন আমিনুল।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বিশাল প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরী জাতীয়করণের ঘোষণা দেন।

“উক্ত ঘোষণা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ করা হয়। সেই পরিপত্র ও গেজেটের ভিত্তিতে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণ সরকারের সকল আর্থিক সুবিধাদি গ্রহণ করে আসছেন। কিন্তু ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর  এক পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রাথিমিক শিক্ষা অফিসারদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ডেকে বিধি ৯ উপবিধি ১ এর ভূল ব্যখ্যা দিয়ে কার্যকর চাকরির পরিবর্তে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয়করণের দিন ধরে জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরির মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়।

“জাতীয়করণকৃত সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যতগুলো আইন ও পরিপত্র জারি করেছে তার কোনোটাতেই ১ জানুয়ারি ২০১৩ সাল ধরে গণনা করার কথা বলা হয়নি। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক জাতীয়করণের পর থেকেই পৌনে আট বছর ধরে বেতন-ভাতা ও সকল সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন।

“এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ অগাস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় পৌনে আট বছর পর কর্মরত শিক্ষকদের ভোগ করা টাইম স্কেল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। এর ফলে ৪৮ হাজার  ৭২০ জন শিক্ষক চরম ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন। এর মধ্যে অনেক শিক্ষক এই টাইম স্কেলসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি ভোগ করে মৃত্যুবরণ ও অবসরে চলে গেছেন।”

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি পত্রটি বাতিলের দাবি জানান তিনি।

অন্য দুটি দাবি হলো- অধিগ্রহণকৃত সহকারী শিক্ষকদের গেজেট অনুসারে কার্যকর চাকুরীকাল ৫০ শতংশ গণনা করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে এবং এসএমসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের নামের গেজেট দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।