বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন জোটের নেতাকর্মীরা। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কুশপুতুলও পোড়ানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ছাড়াও সকলের জন্য সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা নিশ্চিত করা, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আপৎকালীন স্বাস্থ্যখাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ করা, মহামারী মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা জনসম্মুখে হাজির করা, প্রতিটি জেলা শহরে ২৫টি ভেন্টিলেটর মেশিন ও আইসিইউ সাপোর্টসহ ৫০০ শয্যার করোনাভাইরাস ইউনিট চালু করা, সকল হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের ‘সিন্ডিকেট ভেঙে’ দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অধিগ্রহণ করে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয় জোটের পক্ষ থেকে।
তারা অভিযোগ করেন, মহামারীতে মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকারের ‘ন্যূনতম প্রস্তুতি নেই’। বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালায়ের ‘ব্যর্থতা ও সমন্বয়হীনতা পাহাড়-সমান’।
এই সময় সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশি বেশি টেস্ট করা প্রয়োজন হলেও ৪৩টি জেলায় কোনো পিসিআর মেশিন না থাকায় এবং টেস্ট কিটের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন জোটের নেতারা।
দেশের এ পরিস্থিতিতে মানুষের ঘরে-ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিয়ে জোরদার লকডাউন জরুরি হলেও সরকার ‘পুঁজিপতিদের স্বার্থে’ লকডাউন তুলে নিয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।