শনিবার ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, সরকারে সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম।
হাছান মাহমুদ বলেন, “সরকারের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এখনও আশেপাশের দেশ ও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম। কিন্তু রুহুল কবির রিজভীসাহেবসহ বিএনপি নেতারা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, তাতে মনে হয়, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
“পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের হার আমাদের চেয়ে বেশি। ভারতে সংক্রমণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। আর বেলজিয়ামে সংক্রমিতদের মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ, বৃটেনে ১৪, যুক্তরাষ্ট্রে ৬, ভারতে ৩ দশমিক ২, পাকিস্তানে ২ এর বেশি আর আমাদের দেশে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
“আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে মৃত্যুহার ভারত-পাকিস্তানের মতো বা তার চেয়ে বেশি হত। সুতরাং বিএনপি নেতাদের বলবো, আপনারা আশপাশের দেশের দিকে তাকান,” বলেন তিনি।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দু'দফা ক্ষমতায় থেকেও জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার না করাকে ‘রহস্যজনক’ বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
“এটি সত্যিই রহস্যজনক যে জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার তিনি করলেন না। সেকারণে জনগণের মনেও এটি প্রশ্ন যে, জিয়া হত্যার বিচার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে, এজন্যই কি তিনি বিচার করেননি?”
বিএনপির সমালোচনার জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেবার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত সব শংকা-আশংকা মিথ্যা প্রমাণ করেছে।
“করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ইতিহাসের বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন। সরকারের ব্যবস্থাপনায় ছয় কোটি মানুষ ত্রাণ ও আরো এক কোটি মানুষ নানা সহায়তা পেয়েছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে, যা অভাবনীয় এবং অন্য কোনো রাজনৈতিক দল তা করেনি। যেকারণে গত দু'মাসের বেশি প্রায় সব কাজ বন্ধ থাকার পরও পরম সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ আর আমাদের চেষ্টায় একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।”
মতবিনিময়ের সময় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।