সোমবার সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিবের এই প্রতিক্রিয়া জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ন্যূনতম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ সরকারের নানা উদ্যোগে সামঞ্জস্য ও সমন্বয় নেই।
বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ আক্রান্ত লোকেরা করোনাভাইরাস চিকিৎসায় নিবেদিত অন্য হাসপাতাল রেখে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যাচ্ছেন।
“আমরা মনে করি যে, এটা প্রমাণ করে সিভিল হেলথ ব্যবস্থা অর্থাৎ বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙেই পড়েছে, যার কারণে কারো আস্থা সেখানে থাকছে না।”
সকাল ১১টায় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে গিয়ে মোনাজাত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “প্রতিবছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই এখানে আমরা আসি জিয়ারত করতে। কিন্তু আপনারা জানেন, তিনি অসুস্থ। তার পক্ষে সম্ভব নয় এখানে আসার।
“তাকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেয়া উচিত ছিল এবং তার বিচারেও তার যে জামিন পাওয়া উচিত ছিল, সেই জামিনও বর্তমান ব্যবস্থায় তিনি পাননি।”
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কারাবন্দি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সেখানে ছিলেন।