মঙ্গলবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে গ্রন্থমেলা চলছে। এই বইমেলাটি আগে ছিল সার্বজনীন। কিন্তু এখন একুশে বইমেলা আওয়ামী বইমেলায় পরিণত হয়েছে। মেলার সর্বজনগ্রাহ্য সম্ভ্রম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
“এই বইমেলার বিভিন্ন স্টল আওয়ামীকরণে সজ্জিত করা হয়েছে। মেলায় ঢুকলেই মনে হয়, এটি যেন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন। একদলীয় দুঃশাসনের দুরন্ত প্রভাব পড়েছে চলমান একুশে বইমেলায়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
নতুন বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ারও সমালোচনা করেন রিজভী।
সমালোচনার মধ্যে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংককে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে বেঙ্গল ব্যাংক লিমিটেড।
তিনটি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
রিজভী বলেন, “নতুন করে লুটপাট করতে আরও তিনটি ব্যাংকের অনুমতি দিচ্ছে সরকার। রোববার আওয়ামী লীগের এক নেতার নামে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বেঙ্গল নামে একটি ব্যাংকের। পাশাপাশি চারটি ব্যাংককে পুঁজিবাজারে নামানো হচ্ছে নতুন করে জনগণের পকেট কাটার জন্য।
“বাংলাদেশে এখন সরকারের রাঘব-বোয়ালদের জন্য লুটপাটের সব অর্গল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কোনো রকমের যাচাই-বাছাই ছাড়া এক ব্যাংকের পরিচালকরা আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন ইচ্ছামতো। নামমাত্র ব্যবসায়ী, ব্যাংক পরিচালক, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আওয়ামী রাজনীতিকের সংঘবন্ধ চক্র সুকৌশলে লুট করছে ব্যাংকের টাকা।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।