শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এ বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা দরকার। আমাদের দলে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এনিয়ে আগামী ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরা ভবিষ্যতে অতীতের ভুলত্রুটি এড়িয়ে পথ চলতে পারব।”
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরে ২৫ ও দক্ষিণে ২৯ শতাংশ ভোট পড়ে। এই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়ার প্রার্থীদের থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
তবে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থীরা মোট ভোটের মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দাবি করে বিরোধী জোট তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
শনিবারের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বার্তা দেওয়ার ঘোষণা নিয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন হতাশা থেকে অনেক কথা বলছে। পরাজিত হয়ে তারা যে হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে, সেটা তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার।
“গণমাধ্যমে খবর এসেছে, তাদের নিজেদের মধ্যেই নেতৃত্বের আস্থাহীনতা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে নানা বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নয়। তাহলে কর্মীদের কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে, কেমন করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে?”
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সাথে বৈঠক হয়।
বৈঠকে তাদেরকে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দপ্তরে জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর, ইকবাল হোসেন অপু, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এসময় সেখানে ছিলেন।