মঙ্গলবার দুপুরে হামলার ঘটনার পর বিকালে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. আলমগীর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ইসির ৫৮তম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
জ্যেষ্ঠ সচিব আলমগীর বলেন, “প্রচারে হামলার বিষয়ে কমিশনের কাছে বিএনপি অভিযোগ করেছে। কমিশন বিষয়টি শুনেছে এবং তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্যে রিটার্নিং অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ অভিযোগ করেছেন, বেলা পৌনে ১২টার দিকে গাবতলীর পর্বতার কলাবাজার এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসংযোগে নামলে পুলিশের উপস্থিতিতে তার উপর হামলা হয়।
হামলার জন্য ঢাকা উত্তরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ঠেলাগাড়ি প্রতীকের মুজিব সারোয়ার মাসুমের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন তাবিথ।
বিকাল ৪টার দিকে নিজ কার্যালয় থেকে বেরোনোর সময় ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেছিলেন, “বিএনপি মেয়র প্রার্থীর প্রচারে হামলার বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।”
তাবিথ ইসিতে অভিযোগ দেবেন জানালেও নির্বাচন পরিচালনাকারী এই সাংবিধানিক সংস্থার কাজে হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “তারা বলবেন, প্রমাণ আনেন, ফুটেজ আনেন। কিন্তু সব জমা দেওয়ার পরেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেই পরিস্থিতি আবার অবনতির দিকে চলে যাচ্ছে।”
বেলা ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম-৮ আসনে পুনর্নির্বাচন ও ঢাকার দুই ভাগে ইভিএম ব্যবহারের বন্ধের দাবি জানিয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখন তারা ঢাকায় তাদের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রচারে হামলার বিষয়টিও তুলে ধরেছিলেন।
ঢাকার দুই সিটির ভোট ইভিএমে করার সিদ্ধান্ত থেকেও ইসি পিছু হটছে না।
আলমগীর বলেন, “ব্যালেটে ভোট হওয়ার সুযোগ নেই। ইভিএমের প্রতি কেন্দ্রে কারিগরি সহায়তার জন্য সেনাসদস্য থাকবে।”
দুই সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে রাখা হবে না বলেও জানান তিনি।