শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশন’ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর টেলিফোনে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের এই নির্দেশনা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের মোবাইলে ফোন করে শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ছাত্রলীগ গঠন করেছেন সেই লক্ষ্য অনুযায়ী ছাত্রলীগকে পথ চলতে হবে। আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। মুজিব আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে। ছাত্রলীগের যে সুনাম সেই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”
শিক্ষার প্রসারে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে ছাত্রলীগকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব শিশু বা ছাত্র-ছাত্রী স্কুল থেকে ছিটকে পড়ছে তাদের খেয়াল রাখতে হবে। সবাই যেন পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য সুযোগ সৃষ্টি করে এদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। যে কোনো পর্যায়ে ছাত্রলীগকে ভূমিকা রাখতে হবে।”
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর দুই বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ইতিহাস জানতে হবে। ‘৫২ থেকে ’৭১ সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।”
তিনি বলেন, “মানুষ যদি কোনো লক্ষ্য ঠিক রেখে সততার সঙ্গে, দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করে তাহলে যে কোনো অসাধ্য সাধন করা যায়। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য আছে। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা কর্তব্য।”
এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সরস্বতী পূজা থাকায় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন পেছানোর দাবির প্রতি আওয়ামী লীগের সমর্থন রয়েছে জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, “পূজার দিনে নির্বাচন নিয়ে একটা বিব্রতকর অবস্থা। সেটি আমাদেরকেও বিব্রত করছে এবং আমরাও আজকে যারা ছাত্ররা দাবি করছে, তাদের সাথে সহমত পোষণ করি। বিষয়টিকে যদি এড়িয়ে যাওয়া যেত তাহলে এই বিব্রতকর অবস্থা থেকে আমরা সকলেই মুক্তি পেতাম।
“আসলেই তারিখের গোলমাল হয়েছে পঞ্জিকা দেখে। এই তারিখটি সেভাবে নির্ধারণ করা হয়। আর নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব একটা এখতিয়ার আছে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করার। সেই জায়গায়টায় একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এইটুকু না হলে ভালো হত।”