মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের প্রচারে নেমে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পোস্টার লাগাতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নির্বিকার।
“এখন থেকে আর কোনো অভিযোগ আমরা দেব না। এখন থেকে বাধা এলেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলে আমরা এগিয়ে যাব।”
এদিন খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী বাজার থেকে প্রচার শুরু করেন ইশরাক। সবুজবাগ ও মুগদার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান তিনি।
ঢাকা এখন ‘বসবাসের অনুপোযোগী’ শহর হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে অবিভক্ত ঢাকার প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক বলেন, “গত ১২ বছর ধরে একটি সরকার ক্ষমতায়। ঢাকা আজকে সবচেয়ে দূষিত শহর, সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন শহর, সবচেয়ে বসবাসের অনুপোযোগী শহরে পরিণত হয়েছে।
ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের অংশ হিসেবে’ বিএনপি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
“ধানের শীষের এই লড়াই জনগণের লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই, পরিবর্তনের লড়াই, বাসযোগ্য মহানগরী গড়ার লড়াই। এই লড়াই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির লড়াই।
“নগরবাসীর প্রতি বিনীত আবেদন, সব ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ৩০ তারিখ ভোট কেন্দ্রে আসুন, ধানের শীষে ভোট দিন। ধানের শীষে আপনার একটি ভোটে মহানগরীতে পরিবর্তন আসতে পারে।”
“লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। একটা ফিল্ড তৈরি হয়েছে, সেটা ভোট ডাকাতির একতরফা ফিল্ড।”
তাদের পোস্টার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, “আমরা পোস্টার লাগাতে গেলে তা ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। বাধা দেওয়া হচ্ছে, যারা লাগাতে যায় তাদের মারধর করছে। এমনও বলা হচ্ছে যে, যদি আবার পোস্টার লাগাতে আসা হয় তাহলে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেওয়া হবে।”
সবুজবাগ, মুগদায় বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ইশরাক গণসংযোগের সময়ে রাস্তার দুই পাশে বহু মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। নারী-শিশুদের করতালি দিয়ে, হাত উঁচু করে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়।
প্রচারে ইশরাকের পাশে আফরোজা আব্বাস, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছিলেন।