আতিকের নির্বাচনী সভায় এমপি সাদেক খান

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সভায় গিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে ফিরে গেছেন ঢাকা ১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2020, 10:43 AM
Updated : 14 Jan 2020, 10:51 AM

নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী মন্ত্রী-সাংসদরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে বা নির্বাচনের কোনো কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না।

সোমবার আগারগাঁওয়ের শতদল কমপ্লেক্স মাঠে আতিকের নির্বাচনী সভা ছিল। বেলা ১১টায় সেখানে প্রার্থীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনি আসেননি।

এর মধ্যে সাড়ে ১১টার দিকে সভাস্থলে উপস্থিত হন ওই এলাকার সাংসদ সাদেক খান। এসে সভামঞ্চে বসেন তিনি।

নির্বাচনী আচরণ বিধিতে সাংসদদের কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণে বিধি-নিষেধের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাদেক খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এমনিতেই এসেছি। একটু পরে চলে যাব। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেব না।”

এর পরপর সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

রাজধানীর আগাঁরগাও তালতলা এলাকা মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি তিনি এখনও ‘জানেন না’।

“আমি এখনও জানি না। একজন সাংসদ হিসেবে তিনি তো এটা পারেন না। যদি তিনি সেখানে অংশ নিয়ে থাকেন তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

দুপুরে তালতলার শতদল মাঠে ওই সভায় নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, অল্প সময় মেয়রের দায়িত্ব পালনকালেই তিনি কীভাবে একটি আধুনিক ঢাকা গড়া যায় সে বিষয়ে শিখেছেন।

“নয় মাস আমি একটি কঠিন অনুশীলন করেছি। আমি চেষ্টা করেছি, কীভাবে এই শহরকে একটি আধুনিক, সুস্থ ও সচল শহর করা যায়। কালসী খালের জলাবদ্ধতা এখন আর নেই। আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন। এজন্য আমি অনুরোধ করব এলাকাবাসীকে আপনারা সবার দ্বারে দ্বারে যান। সবাইকে উন্নয়নের কথা বলুন।”

নির্বাচিত হলে তরুণদের মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খোলা জায়গা, খেলার মাঠ তৈরি করছি। কারণ যত বেশি খেলার মাঠ থাকবে, তরুণরা খেলাধুলা করতে পারবে, সমাজ মাদকমুক্ত হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”

রাজধানীর আগাঁরগাও তালতলা এলাকা মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

মেয়র নির্বাচিত হলে নিজের ছাড়াও কাউন্সিলরদের সম্পদের হিসাবের বিবরণ জনগণের সামনে প্রকাশ করার অঙ্গীকার করেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আতিক।

এছাড়া প্রতি মাসে একটি করে ‘সিটি হল মিটিং’ করার কথাও বলেন নৌকার প্রার্থী।

পশ্চিম আগাঁরগাও এলাকায় মঙ্গলবার গণসংযোগ করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

আতিক বলেন, “আমরা যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই এজন্য প্রতি মাসে মাসে চেষ্টা করব একটা সিটি হল মিটিং করার জন্য। সেই মিটিং হবে জবাবদিহির মিটিং। এতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সমস্যাগুলো প্রতিফলিত হবে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব। আমরা চাই ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যা সমাধান করতে।”

শতদল কমপ্লেক্সের সভা শেষে ঢাকা ১৩ আসনের ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।