নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী মন্ত্রী-সাংসদরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে বা নির্বাচনের কোনো কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
সোমবার আগারগাঁওয়ের শতদল কমপ্লেক্স মাঠে আতিকের নির্বাচনী সভা ছিল। বেলা ১১টায় সেখানে প্রার্থীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনি আসেননি।
নির্বাচনী আচরণ বিধিতে সাংসদদের কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণে বিধি-নিষেধের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাদেক খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এমনিতেই এসেছি। একটু পরে চলে যাব। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেব না।”
এর পরপর সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
“আমি এখনও জানি না। একজন সাংসদ হিসেবে তিনি তো এটা পারেন না। যদি তিনি সেখানে অংশ নিয়ে থাকেন তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
দুপুরে তালতলার শতদল মাঠে ওই সভায় নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, অল্প সময় মেয়রের দায়িত্ব পালনকালেই তিনি কীভাবে একটি আধুনিক ঢাকা গড়া যায় সে বিষয়ে শিখেছেন।
নির্বাচিত হলে তরুণদের মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খোলা জায়গা, খেলার মাঠ তৈরি করছি। কারণ যত বেশি খেলার মাঠ থাকবে, তরুণরা খেলাধুলা করতে পারবে, সমাজ মাদকমুক্ত হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
এছাড়া প্রতি মাসে একটি করে ‘সিটি হল মিটিং’ করার কথাও বলেন নৌকার প্রার্থী।
শতদল কমপ্লেক্সের সভা শেষে ঢাকা ১৩ আসনের ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।