ডাকসু ভবনে ককটেল কারা ফাটায়: রব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের কাছে হাতবোমা বিস্ফোরণের পেছনে কারা, সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছেন জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2019, 03:20 PM
Updated : 29 Dec 2019, 03:20 PM

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘‘আজকেও ডাকসু ভবনের পেছনে কয়েকটা ককটেল ফাটানো হয়েছে।

“কারা ফাটায়? প্রক্টর সাহেব জানেন না? ভাইস চ্যান্সেলর জানেন না? রেজিস্ট্রার জানেন না?”

ডাকসু ভবন সংলগ্ন মধুর ক্যান্টিনের পাশে রোববার আবার কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর একটি হাতবোমা পাওয়া গিয়েছিল।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকীতে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতবোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কথা বলেন রব।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকীতে ‘ভোট ডাকাতি’র প্রতিবাদে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল বের করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সমাবেশ শেষে রবের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মিছিল শুরু হলেও পুলিশ কদম ফোয়ারের আগে তাদের আটকে দেয়। বাধা পেয়ে সেখানে চার-পাঁচ মিনিট সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে  কর্মসূচি শেষ করে তারা।

সমাবেশে রব বলেন, আওয়ামী লীগ ‘ভোট ডাকাতি করে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করেছে’।

“সারা বাংলাদেশের ভোট চুরি করেছে, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ডাকাতদের ধরতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে এদের বিদায় করতে হবে। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই ভোট ডাকাত, ভোট চোরদেরকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় করি।”

জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কী নির্লজ্জ বেহায়া! ওরা (আওয়ামী লীগ) ভোট ডাকাতি করে বলে যে, আমরা ডাকাতি করি নাই। ডাকাতি যারা করেছে, তাদের চিহ্নিত করেন। রাস্তা-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে যেখানে পারেন, দেখলে বলেন, এই চোর যায়, ডাকাত যায়।”

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘‘জনগণের অবিচল আস্থা রেখে এদেশে পুনরায় আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে জনগণের অধিকার, জনগণের আমানত স্বাধীনতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেব।”

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র কথা স্মরণ করিয়ে দিতে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

আগামীতে ‘বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি আসছে’ বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

“আজ আমাদের ধিক্কার জানাবার দিন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এত বড় কলঙ্কের তিলক কখনও লাগেনি যেটা ২৯ তারিখ রাতে লেগেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে কোনো ভোটে এত বড় চুরি হয় নাই। এই ভোট বাতিল করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে, সরকার পদত্যাগ করতে হবে। সেই শপথ নেওয়ার জন্য আমরা আজকে দাঁড়িয়েছি।”

বিক্ষোভ সমাবেশে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি বলে জানান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

রবের সভাপতিত্বে ও মোশতাক আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, কাজী আবুল বাশার, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, জেএসডির তানিয়া রব, সানোয়ার হোসেন তালুকদার, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল বক্তব্য রাখেন।