ইসির প্রতি অনাস্থা নিয়েই সিটি ভোটে যাচ্ছে সিপিবি

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করলেও তাদের অধীনে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিবি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2019, 03:23 PM
Updated : 29 Dec 2019, 12:19 PM

‘রাজনৈতিক লড়াইয়ের’ অংশ হিসেবে এই ভোটে তারা অংশ নিচ্ছে বলে দাবি করেছে বাম দলটি।

সিপিবির ঢাকা কমিটি বৃহস্পতিবার পল্টনের মুক্তি ভবনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিপিবির ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক রুবেল বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংবিধান সমূন্নত রেখে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সম্ভাবনা দেখছি না।

“আমরা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ আমাদের কাছে একটা রাজনৈতিক লড়াই।”

রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে উল্লেখ করে সিপিবি নেতা রুবেল বলেন, “নির্বাচন কমিশন হচ্ছে নির্বাচন করার জন্য তেমনি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।

“রাজনীতিতে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সৎ, ত্যাগী ও আদর্শবান রাজনীতিবিদরা স্বাচ্ছন্দে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দুষ্টু লোককে পালন করা নয়।”

‘দুবৃর্ত্তায়নের’ রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করে, আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে সিপিবি তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচনে টাকার খেলা, প্রশাসনিক কারসাজি বন্ধ করে জামানতের টাকা মেয়র প্রার্থীদের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ৫ পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি আসে সংবাদ সম্মেলন থেকে।

ঢাকা উত্তরে সিপিবি সাজেদুল হক রুবেলকে এবং ঢাকা দক্ষিণে মানবেন্দ্র দেবকে মেয়র প্রার্থী করতে যাচ্ছে বলে দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আব্দুল্লাহ আল ক্বাফী রতন, ঢাকা কমিটির নেতা আব্দুল কাদের, সাদেকুর রহমান শামীম ও লুনা নূর।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সাজেদুল হক রুবেলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দলের দাবিগুলো নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একটি স্মারকলিপি দিতে যায়।