ইভিএমে সুষ্ঠু ভোট হবে না: ফখরুল

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট হলে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন ‘সুষ্ঠু হবে না’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2019, 08:48 AM
Updated : 25 Dec 2019, 08:51 AM

বুধবার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “তারা (নির্বাচন কমিশন) বলেছে যে, ইভিএমের মাধ্যমে সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। যেটা (ইভিএম) সম্পূর্ণভাবে ক্রটিযুক্ত এবং আমরা এটাকে প্রত্যাখান করেছি। আমরা বলেছি যে, এটা সঠিক হবে না। এই ইভিএমে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে না।”

আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, সবকেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।  

ফখরুল বলেন, “আমরা মনে করি যে, তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।”

বরাবরই ইভিএম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসা বিএনপি নেতাদের সন্দেহ, যন্ত্রে ভোটগ্রহণ হলে ‘ম্যানিপুলেট’ করার এবং ফলাফল ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার সুযোগ থেকে যাবে। তবে নির্বাচন কমিশন বরাবরই বলে এসেছে, ইভিএমে বরং কারচুপির সুযোগ কমবে। 

সংশয় নিয়েও ঢাকার সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি যে, বর্তমান সরকারের অধীনে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। জনগণের যে রায়, সেই রায়টা প্রতিফলিত হবে না। তারপরও যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, সেজন্য আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।”

নতুন বছরের প্রত্যাশা

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার চেষ্টা বা সরকারবিরোধী আন্দোলনে ২০১৯ সালে সাফল্যের দেখা পায়নি বিএনপি। তবে নতুন বছর সামনে রেখে আশায় বুক বাঁধতে চান মির্জা ফখরুল।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “নতুন বছরে আমাদের সবসময়ই প্রত্যাশা থাকে যে, আমরা একটা সুন্দর বছর দেখতে পাব।

“আমরা মনে করি যে, নতুন বছরে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে, সংগ্রাম করবে, লড়াই করবে। অসত্যকে পরাজিত করে, অসুন্দরকে পরাজিত করে তারা সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করবে, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।”

বড়দিনের শুভেচ্ছা

খ্র্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “খ্র্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব বড়দিন। আমি বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের। আমরা প্রত্যাশা করছি, এর মধ্য একটা ‍সুন্দর ও শান্তিময় পরিবেশ গড়ে উঠবে।”

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে সকালে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন বিএনপি মহাসচিব।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি দলের প্রয়াত নেতার কবরের সামনে ছাত্রদলের বর্তমান নেতাদের ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ছাত্র-জনতার ঐক্য গড়ে তোলার’ শপথ করান।

সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলম, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুজ্জামান শিমুল এসময় উপস্থিত ছিলেন।