মঙ্গলবার বিএনপির পার্লামেন্টারি কমিটি মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজনের সাক্ষাতকার গ্রহণের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “চট্টগ্রাম-৮ আসনে তিন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তারা সবাই দক্ষিণ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পার্লামেন্টারি পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে যিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবু সুফিয়ান, তাকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আবু সুফিয়ান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে লড়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী বাংলাদেশ জাসদের নেতা মইন উদ্দিন খান বাদলের কাছে হেরেছিলেন।
২০০৮ সাল থেকে টানা তিন বার নির্বাচিত বাদলের মৃত্যুতে এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে আগামী ১৩ জানুয়ারি।
এই উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে আবু সুফিয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির আহ্বায়ক মোশতাক আহমেদ খান এবং চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাদের তিনজনের সাক্ষাৎকার নেয় বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড। বোর্ডে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব ফফরুল, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকারর, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছিল। সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধেও তাদের অভিযোগ ছিল।
সেক্ষেত্রে এই উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এই নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি।
“আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, এই নির্বাচন অন্তত যদি তারা সুষ্ঠুভাবে করতে পারে, তাহলে জনগণের কিছুটা আস্থা নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ফিরে আসতে পারে।”