আমাকে নিয়েও একটু ভাবুন, অনুরোধ তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

তথ্যমন্ত্রীর আড়ালে পড়ে যাওয়া প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান তার প্রতি টিভি ক্যামেরার দৃষ্টি চাইলেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2019, 02:44 PM
Updated : 16 Oct 2019, 02:44 PM

বুধবার সচিবালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তা প্রধানদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তার দৈনন্দিন কাজও দেখানোর অনুরোধ জানান।

জামালপুর-৪ আসনের সাংসদ মুরাদ হাসান এবারই প্রথম মন্ত্রিসভায় আসেন। সরকার গঠনের সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে। পাঁচ মাস পর মন্ত্রিসভায় প্রথম রদবদলে তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

মুরাদ হাসান বলেন, “মন্ত্রী মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় আমি কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমি আপনাদের প্রত্যেকের আন্তরিক সহযোগিতা চাইছি। আপনারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ঠিক একইভাবে আমিও।”

তিনি বলেন,“মন্ত্রী মহোদয় এই মন্ত্রণালয়ের অভিভাবক, উনি রাষ্ট্রের সকল গুত্বপূর্ণ তথ্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতীয় ইস্যুতে বলে থাকেন। উনি (মন্ত্রী) যখন থাকেন না অথবা মন্ত্রী মহোদয় সব অনুষ্ঠানে যেতে পারেন না, তখন আমি যাই।”

উপস্থিত বার্তা প্রধানদের প্রতিমন্ত্রী বলেন,  “হয় কী তখন...আমাদের বিটিভির ক্যামেরা ওরা তো যায়ই, দেখা যায় আমাদের বেসরকারি প্রায় ৩৫টি চ্যানেল...এর পাশাপাশি অনলাইন পোর্টালগুলো আছে.... তারা হয়ত জানতে পারেন না বা যায় না। এই জায়গাটায় একটা বড় শূন্যতা বা গ্যাপ হচ্ছে। আমার অনুরোধ হল আপনারা যদি আপনাদের ক্যামেরা, রিপোর্টার পাঠান, তবে শূন্যতাটা কাভার হবে।

“এটা আমি পাঁচ মাস ধরে অনুভব করছি, আমার উপলব্ধিতে বারবার এসেছে। শুধু বিটিভি যাচ্ছে, বিটিভি হয়তো বড় একটা অংশ কাভার করে রুরাল এরিয়ায়। আরবান এরিয়ায় প্রাইভেট চ্যানেলগুলোই মানুষ দেখে থাকে। এ কারণে এই গ্যাপগুলো না থাকুক, এটাই আমার প্রত্যাশা।”

আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়র রহমান তালুকদারের ছেলে মুরাদ হাসান কাজের মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রমাণের কথা বলেন।

গণমাধ্যমের বার্তা প্রধানদের তিনি বলেন, “আপনাদের আন্তরিক দৃষ্টি আমার প্রতি যেন থাকে, যে হ্যাঁ মুরাদ ভাই কোথায় গেল, তার আজকে কী প্রোগ্রাম, আপনারা আমাকে নিয়েও একটু যেন ভাবুন। এটা আমার জন্য অনেক ভালো হবে।

“আমি প্রমাণ করতে চাই আমার আন্তরিকতা কতটুকু; আপনাদের পাশে থাকার জন্য আমার মানসিকতা কতটুকু। সেটা নিশ্চয়ই কাজের সাথে সাথে সময়ের সাথে সাথে প্রমাণ হবে। একদিনে কথা বলে বোঝানো মুশকিল।”