এই প্রথম দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এরশাদের অনুপস্থিতি কাউন্সিল করতে যাচ্ছে দলটি।
এরশাদের মৃত্যুর পর অন্তর্কোন্দলের মধ্যে ৩০ নভেম্বর কাউন্সিলের তারিখ দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এরপর ২০ ও ২১ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করলেও ওই সময় আওয়ামী লীগ কাউন্সিল ডাকায় তাও পিছিয়ে দেওয়া হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিকাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় সোমবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ২৮ ডিসেম্বর আমরা কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করতে চাই।”
ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই কাউন্সিল হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এ বছরই কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করতে হবে তাদের।
এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির কর্তৃত্ব নিয়ে স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জি এম কাদেরের কোন্দলের কারণে দলটির এই কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এখন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে রওশন এবং দলের চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে কাদের সমঝোতা করলেও পরবর্তী চেয়ারম্যান কে হবেন, তা কাউন্সিলেই নির্ধারিত হবে।
এই কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের চেয়ারম্যানের সর্বময় ক্ষমতা কমিয়ে আনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আগে জানিয়েছিলেন জি এম কাদের।
কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি দলের কোনো পদের জন্য ‘মুখিয়ে’ নেই। কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা তিনি মেনে নেবেন।
দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও তার পদের বিষয়ে বলেছেন, কাউন্সিলে তৃণমূল তাকে মহাসচিবের পদে দেখতে না চাইলে তিনি সরে দাঁড়াবেন।
এবারের কাউন্সিল শেষে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোতেও বড় পরিবর্তন আসবে বলে আভাস দিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।
দলে ‘অকার্যকর’ হয়েও যারা পদ ধরে রেখেছেন, তাদের এ কাউন্সিলের পর অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জি এম কাদের।
রাঙ্গাঁ বলেছেন, এই কাউন্সিলের পরই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির রাজনীতিকে ঢেলে সাজানো হবে। জেলা-উপজেলায় কমিটিগুলো নতুন করে গঠন করে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেবে দলটি।