শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এই নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন- এটা মনে রাখতে হবে। আমাদের দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। সংগঠনটাকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করে গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত যেন সম্মেলন হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, যে দেশে যে দল সংগ্রাম করে, ত্যাগ স্বীকার করে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে, যাদের আন্দোলনের সংগ্রামের ফলে স্বাধীনতা, সেই দল ক্ষমতায় থাকলে ‘দেশের উন্নয়ন হয়’। আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে যারা ক্ষমতায় আসে তারা নিজেদের ক্ষমতা নিশ্চিত করে ‘নিজেদের ভাগ্য গড়ার কাজে ব্যস্ত থাকে’।
আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তাহলে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারব।”
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমি এটুকুই বলব, এই যে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস সেগুলো আমরা কঠোর হাতে দমন করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। সেটা অব্যাহত থাকবে।”
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।