শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, “আগে নারী ও শিশুদের উত্ত্যক্ত করা হত, এখন ধর্ষণ, গণধর্ষণ তারপরে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি?”
তিনি বলেন, “সবচাইতে বেশি নারী নির্যাতন হচ্ছে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে। তাকে বিনা কারণে আটকে রেখেছে। কারণ একটাই- দেশনেত্রীকে আটকে রাখলে নারী নির্যাতন বেশি করে বাড়ানো যাবে, বেশি করে ব্যাংক লুট করা যাবে, ব্যাংক ডাকাতি করা যাবে, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে, দেশটাকে বিক্রি করা যাবে।”
মানববন্ধনে বক্তব্যে বিচার ব্যবস্থার ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, “আজকে বাংলাদেশে বিচার বলতে কিছু নাই। আমরা দেখেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা ভুয়া মামলা, যা জামিনযোগ্য তবুও জামিন হচ্ছে না। তার কারণ আজকে বিচার বিভাগ এই সরকারের হাতে বন্দি।
“তাদের (বিচার বিভাগ) কোনো স্বাধীনতা নেই, তারা এই মামলায় জামিন দেবে। শুধু তাই নয়, আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী আদালতের দরজায় দৌড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে আটক করে রেখেছে, আদালত জামিন দিচ্ছে না।”
“তার কারণ ক্ষমতায় থেকে যারা এই সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে তাদের যেন কোনো রকম দোষারোপ করতে না হয়, সেজন্য তারা নয়ন বন্ডকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে।”
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনসহ নানা ঘটনায় ‘সরকারের ব্যর্থতার’ কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আরা সাফা, মহিলা দলের ইয়াসমীন আরা হক, হেলেন জেরিন খান, রাজিয়া আলীম, সুরাইয়া বেগম, আমেনা খাতুন, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া, শামীমা আকবর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।