তিনি বলছেন, “এই ওষুধে এইডিস মশা আরও উৎসাহিত হয়ে সন্তান-সন্ততি ব্যাপকভাবে উৎপাদন করে যাচ্ছে। তাহলে এই নতুন ওষুধের কার্যকারিতা কী- বুঝতেই পারছেন।”
ডেঙ্গু মোকাবেলা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে, তা রীতিমতো ‘বাকওয়াজ’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সেই ওষুধেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেও তার পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “ডেঙ্গু মরণের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে দেশের মধ্যে। প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো অঞ্চল বা হাসপাতালে অকাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে মানুষ। রোগীতে ঠাসা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো।
“এমনকি সরকারি হাসপাতালগুলোর খালিস্থানে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ঢল। ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়ালেও সরকার এ নিয়ে এখনও গুজব আবিষ্কারের মধ্যেই আছে।”
ডেঙ্গু প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ঘাটতি এবং পরে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হলেও ‘সরকারের উচ্ছ্বাস ও তামাশার কোনো কমতি নেই’ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের ফটোসেশনে কাজ হবে না, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা।”
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ে সরকার সঠিক তথ্য দিচ্ছে না অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির যে সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে সেটি প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয় না।
“বাস্তব ঘটনা হচ্ছে, সরকার ডেঙ্গুতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নজমুল হক নান্নু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মুনির হোসেন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আবদুল খালেক, আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।