তবে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের মতে, অর্থনৈতিক বৈষম্য, দুর্নীতি, বিভিন্ন সময় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির আবির্ভাব, সাম্প্রদায়িকতার মতো চ্যালেঞ্জগুলো এখনও রয়ে গেছে।
স্বাধীনতার ৪৮তম বার্ষিকীতে মঙ্গলবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দেশ নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন বামধারার দুই রাজনীতিক, যারা শেখ হাসিনার গত সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “আমি মনে করি পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পরে শেখ হাসিনা এবং মহাজোট সরকারের নেতৃত্বে দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। স্বাধীনতার এত বছর পর আমরা চড়াই-উতরাই পার করে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি।
“আমরা দেখেছি পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক শক্তি জেঁকে বসে। তবে তাদেরকে আমরা কোণঠাসা করে মুক্তিযুদ্ধের ধারণাকে সামনে আনতে সক্ষম হয়েছি।”
সাম্প্রদায়িকতাকে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্য ‘হুমকি’ এবং দুর্নীতি, দলবাজি, প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহারকে ‘আপদ’ বলেন তিনি।
“এসব মুক্ত সুশাসনের বাংলাদেশ হচ্ছে রাজনীতির মূল লক্ষ্য। সুতরাং আমার কথা হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর সুশাসনের বাংলাদেশ গড়, বৈষম্যের অবসান কর, সমৃদ্ধির সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দাও।”
“দেশ একটি স্থিতির জায়গায় এলেও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে,” বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি।
গত সরকারের সময় বিমান ও পর্যটনের পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলে আসা মেনন বলেন, “নয়া উদার অর্থনীতি সারা বিশ্বে, বিশেষ করে আমাদের দেশে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। এ অসমতা সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে এক প্রবল হুমকি।
“এছাড়া দুর্নীতি রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। চলছে অর্থনৈতিক লুটপাট। এ সকলই আমাদের চ্যালেঞ্জ। তবে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি। ধর্মের নামে তারা এখন নানা রূপে, সেই সমান শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হল, রাজনীতি এসবের সাথে আপস করছে। তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এটা একটা বড় প্রশ্ন।”
সাম্প্রদায়িকতা তরুণের মধ্যে বিস্তৃত হলে দেশকে সঠিক পথে রাখা যাবে না বলেও সতর্ক করে দেন মেনন।