চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডিতে আহতদের দেখতে শনিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যান তিনি।
সেখানে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “সুপারিশ বাস্তবায়নে, তদন্তে বাস্তবায়নে কেউ যেন কোনো প্রভাব খাটাতে না পারে এটা আমরা নিশ্চিৎ করতে চাই।
“সরকারের কাছে দাবি জানাই, সরকার যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ করবে। আর তা করতে গিয়ে যদি কোনো বাধার সম্মুখীন হয়, সরকার যেন কোনো সময় এটাকে মেনে না নেন।”
এই অগ্নিকাণ্ড তদন্তে পাঁচটি কমিটি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এই কমিটিগুলো করেছে।
নয় বছর আগে নিমতলীকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদামগুলো সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।
কাদের বলেন, “কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য যেন জনস্বার্থবিরোধী না হয়, স্বাস্থ্যবিরোধী না হয়, জনগণের জীবনের হুমকি না হয় ,সামনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে আমাদের। জনগণের জীবন রক্ষার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।”
চুড়িহাট্টার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি সুপারিশ দিলে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
“আমরা চাই, যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার সঠিক তদন্ত হোক। যে সুপারিশগুলো আসবে, সেগুলো বাস্তবায়িত হোক।”
পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক, দাহ্য পদার্থ থাকা উচিৎ নয় বলে মনে করেন কাদের।
গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণকে এই অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন। ফায়ার সার্ভিস বলছে, দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়ায়।
কাদের বলেন, “গাড়ির মধ্যে যে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করি, তা বিপদজ্জন্কক বোম সদৃশ। যে প্রক্রিয়াতে এই সিলিন্ডারগুলো আসে, সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ। নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করা উচিৎ.... না হলে বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।”
নয় বছর আগে নিমতলী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ যারা বাস্তবায়ন করেনি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান বিরোধী দলের এই নেতা।
“দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ, যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর সাহস কেউ না পায়।”
জি এম কাদেরের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি ও দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।