রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এক প্রশ্নে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন বিচারাধীন থাকলেও হাই কোর্টে জামিন আবেদন করা যায়। কারণ হাই কোর্টের ইনহেরেন্ট পাওয়ার (অন্তর্নিহিত ক্ষমতা) আছে জামিন দেওয়ার।
“এখন জামিন দেবে কি দেবে না, সেটা আদালতের ব্যপার। আমরা উনার জামিনের জন্য আবেদন করেছি। সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।”
গত ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠন ও খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি ছিল।
কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবরের আদালত অভিযোগ গঠন ও জামিন আবেদন শুনানি ফের পিছিয়ে দেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজের পদ অবসরজনিত কারণে শূন্য থাকায় অভিযোগ গঠন ও জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে যায়।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। এতে আগুনে পুড়ে মারা যান আট যাত্রী। আহত হন আরও ২৭ জন।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
দুটি মামলায় দুই বছর এক মাস তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. ইব্রাহিম।
মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসমি করা হয়েছে। উভয় মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।
জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।