নারী আসন: জাপার সিদ্ধান্ত বদল

সংরক্ষিত নারী আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে চারজনের নাম জানানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতীয় পার্টি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2019, 07:22 PM
Updated : 15 Jan 2019, 07:22 PM
গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের সংরক্ষিত আসনের জন্য চারজনকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। সোমবার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানায়।

জাতীয় পার্টির প্রেস উইং থেকে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে আগ্রহী জাতীয় পার্টির নেত্রীদের মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে। এরপর প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে। ফরমের দাম ১০ হাজার টাকা।

এর আগে প্রয়াত নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমানসহ চারজনকে একাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য মনোনীত করেছিল জাতীয় পার্টি। অন্য তিনজন হলেন- কুড়িগ্রামের ডা. শাহীনা আক্তার, ফেনীর নাজমা আখতার ও ঝিনাইদহের মনিকা আলম।

জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন ২০০৪ অনুযায়ী, সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে প্রতি আসনের বিপরীতে সংরক্ষিত আসন দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ১৬৭টি।

এবার নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২২টি আসন পাওয়ায় ৫০টি সংরক্ষিত আসন থেকে তাদের ভাগে পড়ছে ৩ দশমিক ৬৭ টি অর্থাৎ চারটি নারী আসন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বাক্ষরে মনোনয়নপত্রটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর পাঠানো হয়েছিল ৯ জানুয়ারি।

দলের অন্যান্য নেত্রীদের আপত্তির মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে বলে জানান জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্পিকারকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়ার পর সবাই এসে আপত্তি করল। আমরা পরে ঠিক করলাম, যথাযথ প্রসিডিউর মেনে মনোনয়ন দেব। কমিটি করে দেব, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো চেঞ্জ করলে তারা করবে।”

স্পিকারকে পাঠানোর চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, “সেটা কোনো অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ছিল না। নতুন কমিটির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করলে পরে সেই অফিসিয়াল ডকুমেন্ট আমরা নির্বাচনে কমিশনে নিয়ে যাব।”

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, তৎকালীন মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায়ের বিরুদ্ধে।

তীব্র সমালোচনার মুখে পরে হাওলাদারকে মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারীর পদে আসীন করা হলেও নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার পর দলীয় কার্যক্রমে তাকে আর দেখা যাচ্ছে না।