ঢাকায় এসেছে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ

আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2019, 12:26 PM
Updated : 5 Jan 2019, 01:50 PM

আশরাফের মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘মেঘদূত’ উড়োজাহাজ শনিবার বিকাল সোয়া ৬টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে।

উড়োজাহাজ থেকে নামানোর পর মরদেহ গ্রহণ করেন সৈয়দ আশরাফের ভাই সাফায়েত উল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান নওফেল, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, সংসদ সদস্য আসলামুল হক, সাদেক খান।

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে মারা যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

বিমানবন্দরেই আশরাফের কফিন ফুল দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এই মুক্তিযোদ্ধার কফিন ঢেকে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আশরাফের মরদেহবাহী গাড়ি রওনা হয় তার ২১ বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবনের উদ্দেশে। সেখানে একটি শোক বই খোলা হয়েছে।

রাতে আশরাফের মরদেহ বেইলি রোডের বাসা থেকে নিয়ে রাখা হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে।

বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ গ্রহণের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতারা।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের জানাজার পর হেলিকপ্টারে করে মরদেহ নেওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে; দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হবে।

এরপর দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে তৃতীয় জানাজার পর আশরাফের মরদেহ ঢাকায় এনে আসরের পর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ গ্রহণের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতারা।

৬৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় তার।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

হাসপাতালে থেকেই তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে তার বেইলি রোডের সরকারি বাসায় খোলা হয়েছে শোক বই।

গত বৃহস্পতিবার সকালে নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি সৈয়দ আশরাফ। পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, শপথের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছেন নবনির্বাচিত এই সংসদ সদস্য।

তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।