‘তারুণ্যবান্ধব’ ইশতেহার নিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ

টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে’ তোলার পর তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে সম্পৃক্ত করার দিক-নির্দেশনা নিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। 

গোলাম মুজতবা ধ্রুব নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Dec 2018, 03:18 PM
Updated : 17 Dec 2018, 03:18 PM

প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার দেওয়ার পরদিন মঙ্গলবার তা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সকাল ১০টায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এই ইশতেহার ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন ইশতেহার প্রণয়ন উপ কমিটির সমন্বয়ক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিনবদলের সনদ’। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’।

এবারের ইশতেহারে দেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মকে  কাজে লাগানোর নানা পরিকল্পনার কথা থাকছে বলে রাজ্জাক এর আগে জানিয়েছিলেন।

তিনি সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আগামী দি‌নের তরুণ সমাজ‌দের নি‌য়ে আমরা কী ভাব‌ছি, এই  তরুণ সমাজ‌কে উন্নয়‌নের সঙ্গে, দেশ প‌রিচালনার সঙ্গে কীভা‌বে সম্পৃক্ত করা যায়, তা জনগ‌ণের সাম‌নে তু‌লে ধরা হবে।”

সাংবাদিকদের মুখোমুখি ইশতেহার প্রণয়ন উপ কমিটি (ফাইল ছবি)

ইশতেহার প্রণয়ন উপ কমিটির সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে তাদের ডেমোক্রেটিক ডিভিডেন্ডের ভেতর এনে কীভাবে কাজে লাগানো যায় এবং প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে কীভাবে কাজ করার সুযোগ বাড়ানো যায়, সেকথা আসবে এই ইশতেহারে।”

তিনি বলেন, অর্থনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা থাকবে ইশতেহারে।

“ইশতেহারের একটা অংশ আমাদের আগামীর পাঁচ বছর। যেখানে সুষ্পষ্টভাবে বলা যায় এটা করব বা এটা করবো না। এর সাথে আমাদের যেই দীর্ঘমেয়াদী দুটো ঘোষণা আছে সেই পাঁচ বছরের সাথে পরবর্তী  সময়টাকে আমরা কীভাবে লিংক করতে পারি। সেগুলো হলো মোর কনসেপচ্যুয়াল আর এগুলো হলো কনক্রিট।”   

ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির সদস্য সচিব, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেই সমস্ত খাতে আমাদের উন্নয়ন করতে হবে, আমরা সেই বিষয়গুলো আমাদের ইশতেহারে তুলে ধরেছি।”

স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী দুই ধরনের পরিকল্পনার কথা থাকছে এই ইশতেহারে।

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন,  “আমাদের দেশীয় যেই সক্ষমতা রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে যেই বিষয়গুলোতে আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার সেই বিষয়গুলোকে আমরা তুলে ধরেছি। কিছু স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার কথা যা ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা করব, বাকি কাজগুলো আমরা ভিশন ২০৪১ এর কথা বলেছি।

“আমরা ডেল্টা প্ল্যানের কথা বলেছি। আমরা ২০৭১ সালে একটি রাষ্ট্রের জন্মশতবার্ষিকীর কথা বলেছি। মানে আমরা শর্ট টার্ম গোল ও লং টার্ম গোল সেটা করেছি আমরা কী কী করব।”