এই মন্ত্রীর ইচ্ছা, খালি মাঠে নয়, ভোটের লড়াইয়েই ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থীদের হারাবেন তারা।
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে এলেও তাদের অনেকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সরকারের ইচ্ছায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গ ধরে বুধবার ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে ১৪ দল আয়োজিত ‘বিজয় মঞ্চের গান’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাসিম বলেন, “যারা মনোনয়ন ফরম ঠিক মতো পূরণ করতে পারে না, তারা ঠিক কিভাবে যুদ্ধ করবে? ঋণখেলাপি ও মনোনয়ন ফরম ভুল করে প্রথম খেলায় তারা হেরে গেছে। কোনো সন্দেহ নেই, ফাইনাল খেলায় ওদের হারিয়ে দেব।
“নির্বাচন কমিশন বলতে চাই, ওরা হয়ত ছোটখাট ভুল করেছে; ওদের অনেকেই আপিল করেছে। যদি ছোটখাটো ভুল করে থাকে, মাফ করে দেন। ইলেকশন করার সুযোগ করে দেন, আমাদের কোনো আপত্তি নাই।
“আমরা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করি; ফাঁকা মাঠে আর গোল দিতে চাই না। সুযোগ করে দেন মাঠে নামার। এত কড়াকড়ি হওয়ার দরকার নাই।”
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার মধ্যে বিএনপির নির্বাচনে আসাকে নিজেদের ‘প্রথম লড়াইয়ে জয়’ হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ফাইনাল খেলায় আমাদের জিততে হবে, এজন্য আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
“ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে, আমরা সরকারে আছি, ভুল ত্রুটি থাকতে পারে আমাদের। ভুলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, এই ভুলকে স্বীকার করে ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে। এই নির্বাচনে কোনো বড় ভুল করা যাবে না।”
নির্বাচনে ঢাকার আসনে বিজয় মানেই বাংলাদেশ বিজয় মন্তব্য করে নাসিম বলেন,“ঢাকা শহরকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ ঢাকা শহরে যেমন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আছে তেমনি রাজাকার দলও এখানে আছে মনে রাখবেন। বর্ণচোরাও এখানে থাকে।
“ঢাকার প্রতিটা আসনে যদি আমরা বিজয় অর্জন করি, বাংলাদেশের কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।”
অনুষ্ঠানে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বক্তব্য রাখেন।
‘বিজয় মঞ্চের গান’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ শিকদার।