বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার মধ্যে মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।
২০ দলীয় জোট শরিকদের ৫০টির মতো আসন ছেড়ে দেওয় হবে বলে জানালেও জামায়াতের বিষয়ে কিছু বলেননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির অন্য কোনো নেতাও এনিয়ে মুখ খোলেননি।
যুদ্ধাপরাধের বিচারের ফলে চাপে থাকা জামায়াত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে রয়েছে। বিএনপির নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে রয়েছে আরও পাঁচটি দল।
নবম সংসদে জামায়াতের দুজন নেতা বিএনপি জোটের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলেন।
নানা কারণে বিতর্কিত এই দলকে এবার বিএনপি ২০টি আসন ছাড়ছে বলে উভয় দলের একাধিক নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে।
জামায়াত ঢাকা-১৫ আসনে নির্বাচন করতে চায়। সেখানে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে মনোনয়ন দেবে তারা।
এছাড়া সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে রফিকুল ইসলাম খান, খুলনা-৬ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-১১ আসনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পারোয়ার, সিলেট-৫ আসনে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনে হাবিবুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আসনে আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আজিজুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১ আসনে আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন, রংপুর-৫ আসনে গোলাম রাব্বানী, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নুরুল আলম মুকুল, গাইবান্ধা- ১ আসনে মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-৪ আসনে আবদুর রহিম সরকার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলামের নাম আলোচনায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দুই আসনেও জামায়াত প্রার্থী দেবে বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ গত ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৫৯টি আসনে এককভাবে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। ওই নির্বাচনে জোটের শরিক জামায়াতসহ শরিকদের ৪১টি আসন ছেড়ে দিয়েছিলো।