নানক বাদ, ঢাকা-১৩ এ মনোনয়ন পেলেন সাদেক খান

পরপর দুই বার ঢাকা-১৩ থেকে আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য হলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেন না দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

সাজিদুল হক নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2018, 10:53 AM
Updated : 25 Nov 2018, 10:53 AM

মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানার একাংশ নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে নানকের জায়গায় নৌকা প্রতীকে দলের টিকেট পেয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলে গত ১০ নভেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সংঘর্ষের সময় গাড়িচাপায় দুই কিশোরের মৃত্যু ঘটে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে জেতেন যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। ঠাঁই হয় মন্ত্রিসভায়, দায়িত্ব পান স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি, তবে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি তিনি।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান মোহাম্মদপুর এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন দীর্ঘদিন।

সাদেক খান

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে যারা একাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়বেন রোববার সকাল থেকে তাদের মনোনয়নের প্রাথমিক প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ৩০০ আসনের মধ্যে এদিন ‘২৩০টির মত’ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীতদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে সোমবার।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে নানকের বাদ পড়া নিয়ে খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে দলীয় কার্যক্রমে তাকে দেখা যাচ্ছে না। এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দলীয় বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে তার নিয়মিত উপস্থিতি ছিল।

ঢাকা-১৩ আগে ছিল ঢাকা-৯ আসনের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৯১ সালে আসনটিতে জয় পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মকবুল হোসেন জয় পান।  ২০০১ পুনরায় আসনটি দখলে নিয়েছিল বিএনপি।