খালেদাকে হাসপাতালে নেওয়ার আবেদনে আদেশ বৃহস্পতিবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখার আর্জি জানিয়ে করা রিট আবেদনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত দেবে হাই কোর্ট। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2018, 11:39 AM
Updated : 13 Nov 2018, 11:39 AM

মঙ্গলবার ওই রিট আবেদনের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে দেয়।

আইনজীবী নওশাদ জমির গত রোববার হাই কোর্টে ওই রিট আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

কায়সার কামাল পরে সাংবাদিকদের বলেন, “বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষ না করে বিএনপির চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে; যা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এই যুক্তিতে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত বৃহস্পতিবার বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছে।”

খালেদা জিয়াকে কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয় জনকে সেখনে বিবাদী করা হয়েছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি। তাকে রাখা হয়েছে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে তিনিই একমাত্র বন্দি।

তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার আর্জি জানিয়ে একটি রিট আবেদন করা হলে হাই কোর্ট গত ৪ অক্টোবর কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণসহ তা নিষ্পত্তি করে দেয়। ওই আদেশের পর গত ৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়।

সেখানে এক মাস চিকিৎসার পর গত ৮ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে হাজির করা হয়। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন ‘যথেষ্ট স্থিতিশীল’। তারপরও প্রয়োজন হলে চিকিৎসকরা কারাগারে গিয়ে তাকে দেখে আসবেন।

কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে সে সময় অভিযোগ করা হয়, খালেদা সুস্থতা নিশ্চিত না করে, তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধানের অনুমোদন ছাড়াই তাকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।