তিনি বলছেন, রাজনীতির ওই ধারা এখন পরিত্যক্ত এবং তা আর বাংলাদেশে ফিরে আসবে না।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতি অব্যাহত রাখতে বিদ্যমান সাংবিধানিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে বীরউত্তম তাহেরসহ সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নুরুল আম্বিয়া বলেন, “কর্নেল তাহের বিপ্লবী চেতনা থেকে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান করেছিলেন। সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক দুর্বলতা ও সাংগঠনিক শক্তির অপ্রতুলতার কারণে এই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ জাসদ সফল হয়নি। অভ্যুত্থানের আদর্শকে জিয়া গ্রহণ না করে ষড়যন্ত্রের পথ অনুসরণ করেছিলেন।”
আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে জাসদ নেতা নুরুল আম্বিয়া বলেন, “আমরা আশা করি ড. কামাল হোসেন বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় গ্রহণযোগ্য নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসবেন।”
বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত এবং তাদের বিষয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। অভিন্ন মাপকাঠিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় নাই এবং অবিচার করা হয়েছে। আমরা তাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধের শিকার হয়েছি। নির্বাচন কমিশনের এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। নিবন্ধনের জন্য আমাদের লড়াই চলবে।”
সভায় অন্যদের মধ্যে জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মুশতাক হোসেন, নাসিরুল হক নওয়াব, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আবদুল কাদের হাওলাদার, বাংলাদেশ জাতীয় কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, সাবেক ছাত্রনেতা সরদার ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবদুস সালাম খোকন, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সহ-সভাপতি মো. টুটুল সরকার, বাংলাদেশ জাতীয় যুবজোটের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রুবেল, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী সাজুসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা আলোচনা করেন। সভা পরিচালনা করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করিম সিকদার।