একাদশ সংসদ নির্বাচনের তোড়জোড়ের মধ্যে সোমবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন বাম জোটের নেতারা।
সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “ডাণ্ডাবাজি, গুণ্ডাবাজি করে ২০১৪ সালে একটি নির্বাচনী বৈতরণী পার করেছে সরকার, এটা দুর্ভাগ্যজনক।
“আপনারা (আওয়ামী লীগ) এক সময় ভোটের জন্য আন্দোলন করেছেন, এখন আপনারা মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আরেকটি একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করা হলে জনগণ তা প্রতিহত করবে।”
অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এবারও নির্বাচনের সময়ে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছে বাম জোট।
সমাবেশ থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার দাবিও জানান জোটের নেতারা।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, “সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু দেশের মানুষের কোনো পরিবর্তন হয় না, লুটপাট বন্ধ হয় না, শ্রমিকরা তাদের অধিকার ফিরে পায় না।
“লুটেরা শাসক শ্রেণি ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দুঃশাসন চালাচ্ছে। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, লুটেরাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।”
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য আমরা লড়ছি, এই লড়াই চলবে।”
সিপিবির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনজুরুল আহসান খান, বাসদ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে শেষে একটি মিছিল বের করে হাই কোর্টের কদম ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড় হয়ে সিপিবি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।