অনুমতি মিললেও খালেদার দেখা পাননি স্বজনরা

কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেও অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া নিচে নামতে না পারায় তার সঙ্গে দেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2018, 03:25 PM
Updated : 14 July 2018, 04:03 PM

শনিবার বিকালে কারাগারের ভেতরে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এসে খালেদার সেজ বোন সেলিমা ইসলাম এই তথ্য জানান।

কারা ফটকের বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যতটুকু জেনেছি, বেগম খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন, তার শরীরে ব্যথা রয়েছে। সে সব কারণে তিনি দোতলা থেকে নেমে নিচতলায় আসতে পারেননি। তাই আজকে কারাগারে এসেও তার সাথে আমাদের দেখা হয়নি।”

চার মাসের বেশি সময় ধরে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে স্বজনদের সর্বশেষ দেখা হয় গত ৩০ জুন।

এরপর আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতা কাউকে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়া হয় (ফাইল ছবি)

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ১১ দিন তার পরিবারের সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা কারাবিধির নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। দেখা-সাক্ষাতের ব্যাপারে জেল সুপারকে বলা হলে তিনি বলেন আইজি প্রিজনের কথা। আইজি প্রিজনকে বললে তিনি বলেন মন্ত্রীকে বলেন।

“মন্ত্রীর কাছে গেলে তিনি বলেন এক নম্বরের সম্মতি ছাড়া আমার পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।”

এরপর কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে কারাগারের সামনে আসনে বোন সেলিমা ইসলাম ও তার স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজন।

বিকাল ৫টার দিকে তারা কারাগারের ভেতরে ঢোকেন। পৌনে এক ঘণ্টা পর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।

এ সময় তারা কারাগারের ভেতরে দর্শনার্থীদের সঙ্গে কয়েদিদের সাক্ষাতের কক্ষে খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় ছিলেন বলে জানান সেলিমা ইসলাম।

কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তারা।

জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়া।