শনিবার সকালে সকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে জিয়া পরিষদ ‘বুদ্ধিজীবী সমাবেশ’র আয়োজন করেছিল।
সেমিনার কক্ষে ব্যানারও টানিয়েছিল জিয়া পরিষদ। ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরাও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদ সাংবাদিকদের জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে পুলিশ এসে বলে, ‘এই অনুষ্ঠানের কোনো অনুমতি নেই, সমাবেশ করা যাবে না’।
সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এলে তাকে ঘটনাটি জানান আয়োজকরা।
ফখরুল গাড়ি থেকে নেমে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “দেশে আজকে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক স্পেস নাই, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।
“আজকে এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়, অরাজনৈতিক একটি সংগঠনের সমাবেশ ছিল। সেটাও এই সরকার করতে দেয়নি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।”
ফখরুল বলেন, “এটা খুবই পরিতাপের কথা, দুর্ভাগ্যের কথা যে আজকে বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বিভাগ তারা একটা ভয়ংকর দুঃশাসনের কাজ করছে, অত্যাচার-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।”
এর আগে বিভিন্ন সময় বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কাকে কারণ দেখানো হয়েছিল।
জিয়া পরিষদকে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে পুলিশের কোনো ভাষ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।