ঈদের দিন শনিবার বিকালে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে বেরোতে চাইলে তার গাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি রেখে পথ আটকে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মওদুদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বাড়ির সামনে সকাল থেকে অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। আর বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ আমার গাড়ির সামনে তাদের ভ্যান আড়াআড়িভাবে পেতে রেখে পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।
“আমি তাদের বলেছি, হয় আমাকে অ্যারেস্ট করেন, যদি আপনারা মনে করেন যে আমি অন্যায় কিছু করেছি বা বাইরে আমার এলাকায় যেতে চাই এটা বেআইনি কিছু তাহলে আমাকে গ্রেপ্তার করেন, থানায় নিয়ে চলেন, আমাকে হাজতে পাঠিয়ে দিন। আর তা না হলে আমাকে যেতে দিন।
“কিন্তু উনারা অনড়, কিছুতেই এটা করবেন না। আমি থানার ওসি সাহেবের সাথে কথা বলেছি, এসপি সাহেবের সাথে কথা বলেছি। তারা একই কথা বলছেন যে, আমরা আপনাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেব না।”
আর নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মওদুদ আহমদ একজন বড় মাপের রাজনৈতিক নেতা। তার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই তার বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
“সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে তিনি বাড়ি থেকে বের হলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে-এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাকে বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে- এমন অভিযোগ সত্য নয়।”
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ চারদলীয় জোট সরকারের সময় আইনমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে আইনি লড়াইয়ে ছিলেন তিনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে মওদুদকে হারিয়েই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টানা দ্বিতীয় দফায় এমপি হন তিনি।
সরাসরি ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ না করে তাকে ইঙ্গিত করে মওদুদ বলেন, “উনি বড় দলের বড় নেতা হয়েছেন, তাতে আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু উনি নিজের এলাকায় গণতন্ত্র দিতে পারেননি।”
সরকার ‘জনবিচ্ছিন্ন ও জনগণকে ভয় পায়’ বলে তাকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।