তিনি বলেছেন, “তারা গতবার নির্বাচনে যায়নি, নির্বাচনের বৈধতার কোনো সঙ্কট হয়নি। এবারও হবে না।”
দশম সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারকে বিএনপির ‘অবৈধ’ বলে আসার মধ্যে সোমবার ঢাকার কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক ইফতার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন কাদের।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এবারও তারা নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি তুলেছে, সেই সঙ্গে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপির জন্য নির্বাচন অপেক্ষা করবে না।
সোমবারও ওবায়দুল কাদের বলেন, “তাদের জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না। নির্বাচন নির্বাচনের পথে চলবে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে, সংবিধান অব্যাহত থাকবে।”
কারাবিধির বাইরে গিয়ে তাকে ব্যক্তিগত গৃহকর্মী রাখতে দেওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী কাদের।
তিনি বলেন, “জেলে দিয়েছে আদালত, মুক্তি দিতে পারে আদালত। কিন্তু তার সঙ্গে মানবিক আচরণ করায় সরকারের কোনো গাফিলতি নেই।”
রোববার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কূটনীতিকদের বলেছিলেন, “আজ বেগম জিয়া পরিত্যক্ত জেলখানার চার দেওয়ালে মধ্যে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছেন। তাকে একটি মিথ্যা মামলায় বিনা দোষে কারাবন্দি করা হয়েছে, তিনি সুবিচার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন।”
এই প্রসঙ্গে কাদের বলেন, “ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ইফতার নিয়েও রাজনীতি করে। ইফতারের সময় তারা রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ান। তারা দেশের মানুষের কাছে তো নালিশ করেই, ইফতার সামনে রেখে বিদেশিদের কাছেও নালিশ করে।
“আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইফতারের সময় রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন না, এমনকি আমিও রাখি না।”