শেখ হাসিনার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্যের জবাবে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, “আপনারা সদলবলে ভারতে গিয়েছিলেন কী ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেনদরবার করতে? বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার জেনে গেছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ২০/২২টির বেশি আসন পাবে না। সেজন্য একতরফা নির্বাচনের পক্ষে নাক গলাতে তারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে।
“হানিফ সাহেবের বক্তব্যে জাতির সামনে ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে আসলো, গণতন্ত্র বিধ্বংসী আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার বর্হিপ্রকাশ ঘটলো। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, জনগণ এবার আর বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না।”
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের আমন্ত্রণে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল গত ২২ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল ভারত সফর করে।
সফর শেষে বুধবার গুলিস্তানে দক্ষিণ ছাত্রলীগের দ্বি-বার্ষিক সভায় হানিফ বলেন, “খালেদা জিয়ার দুর্নীতি-হত্যার রাজনীতি এ দেশের জনগণ আর চায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, ততদিন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকবে, জননেত্রী শেখ হাসিনা ততদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।”
হানিফের বক্তব্যকে ‘সুখস্বপ্ন’ আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, এটা স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারের যথার্থ প্রতিধ্বনি। সরকার যে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।
তারেক রহমানের পাসপোর্ট জমা ও নাগরিকত্ব বাতিল নিয়ে সরকার নানাভাবে অপপ্রচারের ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে বিএপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র ও তদ্বির করে ব্যর্থ হয়ে তার মন্ত্রিসভার একজন সদস্যকে দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করাচ্ছেন।
“আমি আবারো বলতে চাই, জনাব তারেক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বজর্ন করেন নাই। যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা পলিটিক্যাল এসাইলাম নিয়ে অবস্থান করেন, সেইভাবে তিনি সেখানে আছেন। তিনি এসাইলামের জন্য যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্টে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন, সারেন্ডার করেন নাই।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে ইউনাইটে হাসপাতালে নিদে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে সুচিকিৎসার দাবি জানান।
ব্নিপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল লতিফ, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, শামসুজ্জামান সুরুজ, রফিক শিকাদার, আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।