বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “অহেতুক মিথ্যাচার করবেন না। সরকারকে দোষারোপ করবেন না। রাজনৈতিক মত-পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়।”
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সোমবার নিজের মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমি আশ্বস্ত করতে চাই, জেল কোড মেনে তার (খালেদা জিয়া) সর্বোচ্চ চিকিৎসা হচ্ছে। বেগম জিয়াকে ধন্যবাদ জানাই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ওষুধ খাচ্ছেন।”
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।
চলতি মাসের প্রথম দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। ওই বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা গুরুতর নয়।
বিএনপি নেতারা খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দেখার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানালে গত ৭ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে এক্সরে করানো হয়।
কিন্তু সরকার খালেদার চিকিৎসায় যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা ‘লোক দেখানো’ বলে অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে অবিলম্বে গুলশানের ইউনাটেড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
সরকারের চিকিৎসায় ‘বিশ্বাস নেই’- বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, “কারাগারে থাকলে সরকারের ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা নিতে হয়- এটা তিনি জানেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় এটা সরকারের দায়িত্ব।
“আমাদের আমলে কোনো রাজনৈতিক নেতা চিকিৎসা পাবে না সেটা হবে না। মওদুদ সাহেবের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।”
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিচ্ছেন খালেদা জিয়া।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, “এটা তার জন্য প্রিভিলেজ ছিল। তার ইচ্ছা অনুযায়ী ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন।”
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত সরকারের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।