দুদক বিএনপি শীর্ষ পর্যায়ের আট নেতার ‘সন্দেহজনক’ ব্যাংক লেনদেনের অনুসন্ধান করার প্রসঙ্গে তিনি মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বলেন, “আটজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদপত্রে দিয়ে চরিত্রহননের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এটাও তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ।
“উদ্দেশ্য একটাই- বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রাখা এবং বাকী শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া যাতে করে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে। এমন অবস্থা করা যাতে এই দল নির্বাচনে আসতে না পারে। এটাই হলো তাদের মূল্য লক্ষ্য।”
সরকারের ষড়যন্ত্র ‘নসাৎ’ করে দেওয়া হবে জানিয়ে মওদুদ বলেন, “দেশের মানুষ এটা কখনো গ্রহণ করবে না।”
সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কে কী বলব। এই কমিশন তো আমরাই করেছিলাম অনেক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। সত্যিকার অর্থে যারা দুর্নীতিপরায়ণ, বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের দুর্নীতি ধরবে, একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।
“এখন এই দুর্নীতি কমিশন সরকারের একটা তল্পিবাহক একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আজকে এই কমিশন সরকারের একটি আজ্ঞা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের ইচ্ছাপূরণ করবার চেষ্টা করছে।”
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল নিয়ে শেখ হাসিনার ভোট চাওয়া সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থি বলেও সমালোচনা করেন মওদুদ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার সভানেত্রী রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।