এইচ এম এরশাদের দলের মহাসচিব হাওলাদার বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রাজনৈতিক কৌশল’ হিসেবে সরকারে রয়েছেন তারা।
বিএনপির বর্জনের পর নানা নাটকীয়তার মধ্যে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল জাতীয় পার্টি। এরপর বিরোধী দলের আসনে বসে তারা, রওশন হন বিরোধীদলীয় নেতা।
পরে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর তিন সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মন্ত্রী এবং মুজিবুল হক চুন্নু ও মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রতিমন্ত্রী হন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদকেও করা হয় মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
জাতীয় পার্টির দ্বিমুখী অবস্থান নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত মাসে সংসদে রওশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছিলেন, “আমাদের মন্ত্রীগুলোকে উইথড্রো করে নেন। আমরা বিরোধী দল হতে পারি নাই। এভাবে বিরোধী দল হওয়া যায়?”
সিদ্ধান্ত ঘন ঘন পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত এরশাদও বিভিন্ন সময় বলেছেন, ‘সময় হলেই’ মন্ত্রিসভা ছাড়বেন তারা।
আগামী ২৪ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পার্টির জনসভা নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এলে হাওলাদার মন্ত্রিসভা ছাড়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন।
মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির নেতারা কবে অব্যাহতি নেবেন- এই প্রশ্নের উত্তরে মহাসচিব বলেন, “এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আসলে রাজনৈতিক কৌশল সবই, মনে রাখতে হবে। কোনটা করলে দেশের ভালো হবে, জাতির ভালো হবে- সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।”
আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে হাওলাদার বলেন, “মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। ইতোমধ্যে তার কাছে ৯ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তা থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির সভাপতিণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এস এম ফয়সল চিশতী, সুনীল শুভরায় ছিলেন। জাতীয় পার্টির নির্বাচনী জোট সম্মিলিত জাতীয় জোটের অন্যতম বড় শরিক ইসলামী ঐক্য ফ্রন্টের মহাসচিব আব্দুল মতিনও উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।