আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির দুই নেতা গ্রেপ্তার

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকের আগের রাতে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2018, 03:53 PM
Updated : 3 Feb 2018, 05:26 AM

শুক্রবার রাতে মহাখালী ডিওএইচএসের একটি বাসা থেকে আমানের সঙ্গে গ্রেপ্তার নাজিমউদ্দিন আলম বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য।

পুলিশের উপর হামলার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমান ও নাজিমকে ধরতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালী ডিওএইচএসের ওই বাসা ঘিরে ফেলে।

“পরে তাদের সাথে কথা বলে কিছুটা সময় নিয়ে দুই নেতাই নিচে নেমে আসেন।”

গত মঙ্গলবার হাই কোর্ট এলাকায় পুলিশের উপর বিএনপিকর্মীদের হামলার পর থেকেই দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার চলছে।

এই দুজনের আগে বিকালে উত্তরা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনকে এবং নয়া পল্টন থেকে নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে রিজভী জানিয়েছেন।

এছাড়া নেতাদের বাসায় বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা বানচাল করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে।

ওই চার নেতা ছাড়াও মানিকগঞ্জের আবদুল মোতালেব, আবদুল খালেক, মাহবুব আলম, ঢাকা মহানগর জাসাসের শফিকুল ইসলাম রতন, বগুড়া জেলার মো. বাবলু, আবদুর রাজ্জাক, গোলাম রাব্বানি, আলেকজান্ডার ও কাজী রশিদকে পুলিশ শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “বিরোধী দলের অনুষ্ঠান বানচাল করার চিরাচরিত আওয়ামী লীগের যে অভ্যাস সেই অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি করছে সরকার। কার্যত ভয়ভীতি সৃষ্টি করে এই সভা যাতে সফল না হতে পারে সেজন্য দানবীয় মনোবৃত্তি নিয়ে তারা (সরকার) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে।”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হাই কোর্টের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা করে, যাতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

সে সময় সাবেক ছাত্রদল নেতা ওবায়দুল হক নাসিরসহ বিএনপির দুই নেতাকে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে পুলিশের ভাষ্য।

ওই হামলার ঘটনায় শাহবাগ ও রমনা থানায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করে ওই সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। গত চার দিনে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ২৭৫ জনের বেশি বলে বিএনপির দাবি।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে।

এরপর তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, গণশিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হন।