নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের প্রথম পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকার মেয়ে আইভীর বিরোধ দীর্ঘদিনের।
গত বছর টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়া আইভী নারায়ণগঞ্জ নগর প্রশাসনের নেতৃত্বে আছেন ১৪ বছরের বেশি সময়।
আওয়ামী লীগ আমলেই বিভিন্ন সময়ে শামীম ওসমান ও আইভীর দ্বন্দ্বে উত্তাপ ছড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জে। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে সর্বশেষ উত্তেজনার শুরু।
পিস্তল হাতে সংঘর্ষের মধ্যে এসে ব্যাপক পিটুনি খেয়েছেন শামীম ওসমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত নিয়াজুল ইসলাম নামের একজন, যার অস্ত্র উঁচিয়ে ধরা ছবি বুধবার অধিকাংশ সংবাদপত্রের প্রধান খবরে এসেছে।
হামলার জন্য সরাসরি শামীম ওসমানকে দায়ী করেছেন আইভী। অন্যদিকে শামীম ওসমানের দাবি, হকারদের বসাকে কেন্দ্র করে উসকানি দিয়ে গণ্ডগোল বাঁধানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “আপনারা দুইজন পাশাপাসি বসা- একজন সুদর্শন পুরুষ আরেকজন সুন্দরী মহিলা, আপনারা যদি মারামারি করেন আমি কি করতে পারি, কন?
“আমার যতদূর মনে হয়, তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে এই ঘটনাটা ঘটতেছে।”
এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর যাতে না হয় সেজন্য হস্তক্ষেপ করবেন কি না- সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “দুজনই আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আমাদের দলেরই। বন্ধু-বান্ধবীর মধ্যে মারামারি হবে, এটা একটু বেশি মাত্রায় হয়ে গেছে।”
“এখন এটা যদি সরকারের ইন্টারভেনশন দরকার লাগে অবশ্যই আমরা ইন্টারভেন করব। যদিও মনে হয় বিষয়টি একেবারেই ব্যক্তিগত। তবুও আমরা রিপোর্ট চাচ্ছি কী হয়েছে। যদি পয়েন্ট অব কনফ্লিক্ট থাকে সেটা আমরা অবশ্যই মীমাংসা করব, অবশ্যই এরমধ্যে আমরা ইনভলবড হব।
“আমরা অলরেডি ডিসি-এসপির কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। ঘটনাটি কী- জেনে দুপক্ষরে ডেকে, আমি তো করব না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই করবেন দুপক্ষরে ডেকে নিয়ে। আর যদি উনি আমারে দায়িত্ব দেন আমিও কথাবার্তা বলতে পারব। আমাদের দলের জেনারেল সেক্রেটারিও করতে পারেন।”
সেজন্যই আওয়ামী লীগ থেকে দুই পক্ষকে ঢাকায় ডাকা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হকার উচ্ছেদ নিয়ে মেয়র আইভীর পক্ষে অবস্থান জানালেও পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি, যাতে শামীম ওসমানের পক্ষেও সমর্থনের প্রকাশ ঘটে।