বুধবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় তৃণমূল সমাবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন মিসবাহ।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমি জীবনেও জনপ্রতিনিধি হতে পারিনি। যেহেতু আমাদের সুযোগ্য অর্থমন্ত্রীর বয়স হয়েছে, তিনি অবসর নেবেন। আজ যখন সুযোগ এসেছে, আমি আপনাদের সহায়তা পেলে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার আবেদন জানাতে চাই।”
তিনি বলেন, “আমার প্রতি দোয়া রাখবেন, আমি যেন মনোনয়ন পাই। আমি অতীতে আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।"
মিসবাহউদ্দিন সিরাজ যখন এই বক্তব্য দেন তখন সমাবেশ মঞ্চেই ছিলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত ও তার ছোট ভাই এ কে আবদুল মোমেন।
পরে অর্থমন্ত্রী বক্তৃতা দেন। কিন্তু বক্তৃতায় তিনি নির্বাচন বা প্রার্থী হওয়া বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আর প্রার্থী হচ্ছেন না বলে মুহিত নিজেই বেশ কয়েকবার বলেছেন। প্রায় দুই বছর ধরে সিলেটে অর্থমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অংশ নিতে দেখা গেছে তার ছোট ভাই জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে মোমেনকে।
আগামী নির্বাচনে মুহিত প্রার্থী না হলে মোমেন প্রার্থী হচ্ছেন-এ রকম প্রচারণাও রয়েছে সিলেটে।
এ অবস্থায় তৃণমূলের সমাবেশে মিসবাহউদ্দিন সিরাজের ঘোষণা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মিসবাহউদ্দিন সিরাজ আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসীন হওয়া একজন নেতা। ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদের মাধ্যমে মূল দলের নেতৃত্বে আসেন তিনি। সিলেট মহানগর প্রতিষ্ঠার পর দুই মেয়াদে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিন মেয়াদে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন।