দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের পুনঃশুনানি দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
আর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান বিচারপতিকে তার পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানান মাহবুব হোসেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, “… নতুবা দেশবাসী মনে করবে, আমাদের ন্যায় বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্টও বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের রক্তচক্ষু দেখে ভীত সন্ত্রস্ত। তাই আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে এই ব্যপারে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার পাঁয়তারা করছে।…আজকে মীর কাসেম আলীর মামলা নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্য সেটাই আলও স্পষ্ট করে দিয়েছে। এই বক্তব্য শুধু মীর কাসেম আলীর মামলার ব্যাপারে নয়। এটা সর্বোচ্চ আদালতে ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে আঘাত স্বরূপ।”
খন্দকার মাহবুব বলেন, “আমরা মনে করি যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং প্রধান বিচারপতি বার বার এ কথাটি উচ্চারণ করে যাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে এরকম ঔদ্ধত্বপূর্ণ বক্তব্য বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে অবজ্ঞা ও অবমাননা করার শামিল।”
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।