আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে- প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাস জনগণ বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন আশ্বাসের প্রতিক্রিয়ায় রোববার ঢাকার বাড্ডায় এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং তারেক রহমানকে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার আহ্বানও তিনি জানান।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, “শেখ হাসিনা বিদেশে গিয়ে বলেছেন, আগামী নির্বাচন নাকি সুষ্ঠু হবে। কী বলব? আগের নির্বাচনগুলোতে ডাকাতি হয়েছে, তাই তো? আমরা এটা বিশ্বাস করি না, এটা কেউ বিশ্বাস করে না, এটা এদেশের জনগণ বিশ্বাস করে না।”
অতীতের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা ভোটারবিহীন সরকার দেখেছি। ১৫৪টা আসনে কোনো প্রার্থী ছিলো না। বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সেই নির্বাচন জনগণ বয়কট করেছিল। আর গত নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি হয়েছে।”
সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ হোক। আপনারা আসেন রাস্তায়, সেখানে আমাদের পরীক্ষা হবে।”
তিনি বলেন, “এদেশে কোনো ইভিএম মার্কা ডাকাতি চলবে না। জনগণ নিজের হাতে নিজে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি তারা নির্বাচিত করবে, জনগণের প্রতিনিধির সরকার এদেশে প্রতিষ্ঠা করবে। সেই লক্ষ্যে আসুন, আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হই।”
খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এই যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, তাকে অব্যাহত রেখে আমাদের গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি যেন করতে পারেন, সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এর দায়িত্ব একমাত্র আমাদের।”
জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি ও সারাদেশে সমাবেশে হামলা ও নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি গুলশান জোনের উদ্যোগে বাড্ডার গুদারা ঘাটে এই সমাবেশ হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে দলের চেয়ারপারসনের পরিষদের কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাইফুল আলম নিরব, তাবিথ আউয়ালসহ মহানগর উত্তরের নেতারা বক্তৃতা করেন।